সামিয়া আলম (ছদ্মনাম) একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। অনলাইনে ‘Fashion House’ নামক পেজে একটি অফার দেখতে পায় চারটা ড্রেস মাত্র বারোশো টাকা। এত সুন্দর ড্রেস আবার এত কম দাম! সামিয়া পেজে নক করে বিস্তারিত জানতে চাইলে তাকে বলা হয় ড্রেস গুলো কিনতে হলে তাকে এডভান্স টাকা পেমেন্ট করতে হবে। সামিয়া টোটাল ৮ টি ড্রেস এর জন্য ২৪০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করে।
টাকা পাওয়ার পরপরই ওই পেইজ থেকে তাকে ব্লক করে দেয়া হয়।
শুধু সামিয়া নয়, গত কয়েক মাস ধরে এই ধরনের কিছু ভুয়া অনলাইন পেজ থেকে হাজার হাজার মানুষ এভাবে প্রতারিত হয়েছে।প্রতারণার বিষয়টি নজরে আসার পরে সাইবার পুলিশ কাজ শুরু করে। সাইবার পুলিশ উক্ত পেজের এডমিনকে শনাক্ত করে। পেজের এডমিন খুলনাতে অবস্থান করছে বলে জানা যায়।
পরবর্তীতে গত ২৪/০৯/২০২০ খ্রিঃ এএসপি জুয়েল চাকমা ও এএসপি কাজী আবু সাঈদ এর নেতৃত্বে সাইবার পুলিশ এর একটি টিম খুলনা মহানগরের কাশেম নগর আবাসিক এলাকা থেকে Fashion House এর প্রকৃত সত্তাধিকারী মোঃ ওসমান গণি (২৫) ও তার সহযোগী স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার স্বর্ণা (২১) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। স্বামী স্ত্রী মিলে গড়ে তুলেছিল প্রতারণার এক বিশাল বাজার।
গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তদের কাছ থেকে Fashion House নামক ফেসবুক পেইজটির কার্যক্রম পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি ও ডিভাইসটি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ০৪ টি মোবাইল ফোন, ০১টি ল্যাপটপ, ১৬টি সিম উদ্ধার করা হয়।
ফেসবুকে এরকম আরো অনেক ভুয়া পেইজ আছে, যারা একই পদ্ধতিতে অসংখ্য কাস্টমারদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এরকম অপরিচিত ভুঁইফোড় পেইজ থেকে এডভান্স টাকা প্রদানের মাধ্যমে কেনাকাটা করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো।
সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইনের যেকোন ধরনের সাইবার অপরাধের তথ্য সিআইডির সাইবার পুলিশের সাথে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।