বরগুনায় পানিতে চুবিয়ে খুনের পর বিষখালী নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া আবদুল্লাহ নামের সাত বছরের শিশুটির মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বরগুনার বিষখালী নদীর মোল্লারহোরা এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবদুল্লাহকে পানিতে চুবিয়ে খুনের পর বিষখালী নদীতে মৃতদেহ ভাসিয়ে দেয় তার ভগ্নিপতি মোসলেম। আবদুল্লাহকে খুনের পর তার দেড় বছর বয়সী ছোট ভাই আফসানকে একই কৌশলে পানিত ডুবিয়ে খুনের চেষ্টার সময় স্থানীয়রা মোসলেমকে আটক করে। এরপর মোসলেমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এলাকাবাসী বাবুল মোল্লা জানান, সন্ধ্যায় বিষখালী নদীর মোল্লারহোরা এলাকায় বাদল নামের এক জেলে আব্দুল্লাহ মৃতদেহ নদীতে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহের ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়।
এদিকে এ খুনের ঘটনায় নিহত আবদুল্লাহর বাবা মো. ছগীর হোসেন বাদী হয়ে তার জামাতা মোসলেমের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় আটক মোসলেমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম বলেন, শিশু আব্দুল্লাহ মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য শুক্রবার দুপুরে ডুবুরির মাধ্যমে বিষখালী নদীতে অনুসন্ধান চালানো হয়। কিন্তু ডুবুরিরা আবদুল্লাহর মৃতদেহ খুঁজে পাননি। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলেরা মৃতদেহটি নদীতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ মৃতদেহটি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে।
মন্তব্য করুন