ভেজাল ঘি খরিদ করলে পয়সা নষ্টের পাশাপাশি হতে পারে আপনার স্বাস্থ্য সমস্যাও। এজন্যই কিছু সহজ পদ্ধতির কথা বলছি; যেগুলোর দ্বারা আপনি ঘরে বসেই পরীক্ষা করতে পারবেন ঘি খাঁটি নাকি ভেজাল।
ভেজাল ঘি শনাক্তকরণ পরীক্ষাঃ
ভেজাল ঘি শনাক্তকরণের জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি ও ল্যাবরেটরি পদ্ধতি রয়েছে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে শুধু ঘি ভেজাল কিনা তা জানা যাবে। তবে কি দ্বারা ভেজাল করা হয়েছে সেটি শনাক্ত করতে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার প্রয়োজন হবে।
ঘরোয়া পদ্ধতিঃ
হাতে কিছু ঘি নিয়ে রগড়ান। তারপর শুঁকে দেখুন। যদি কিছুক্ষণ পরই গন্ধ আসা বন্ধ হয় তবে বুঝবেন এতে ভেজাল মেশানো আছে। তবে এভাবে ঘিতে কি মেশানো আছে তা জানা যাবে না।
হাতের তালুতে এক চামচ ঘি নিন। যদি নিজে নিজে গলতে শুরু করে তবে তা খাঁটি। সাধারণত খাঁটি ঘি শরীরের তাপমাত্রায় গলতে থাকে।
এক চামচ ঘি নিয়ে গরম করতে থাকুন। যদি দ্রুত গলে যায় এবং বাদামী বর্ণ ধারণ করে তবে তা খাঁটি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই খাঁটি ঘি গলে যায়। যদি ভেজাল মেশানো থাকে তবে তা গলতে দীর্ঘ সময় নেয়।
ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষাঃ
ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার মাধ্যমে ঘিতে মিশ্রিত উপাদানটি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
কোলটার ডাই শনাক্তকরণঃ
এক চামচ ঘিয়ের মধ্যে ৫ মিলি. হাইড্রোক্লোরিক এসিড যোগ করুন। যদি ঘি লাল হয় তবে বুঝবেন ঘিতে কোলটার ডাই মেশানো হয়েছে।
সিদ্ধ আলু শনাক্তকরণঃ
এক চামচ ঘিতে ৪-৫ ড্রপ আয়োডিন যোগ করে ফেলুন। যদি ঘিয়ের রং পরিবর্তিত হয়ে নীল হয়, তবে বোঝা যাবে ঘিতে সিদ্ধ আলু মেশানো হয়েছে।
ডালডা শনাক্তকরণঃ
একটি বাটিতে এক চামচ ঘি, হাইড্রোক্লোরিক এসিড এবং সামান্য মেশান। যদি ঘি হালকা লাল বা লালচে বাদামী হয় তবে বোঝা যাবে ঘিতে ডালডা মেশানো হয়েছে।
তিলের তেল শনাক্তকরণঃ
১০০ মিলি. ঘি নিন। তাতে ফারফিউরাল এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিড মেশান। এরপর অ্যালকোহল যোগ করুন। ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। যদি লাল রং আসে তবে বুঝবেন তিলের তেল মেশানো হয়েছে।
ভেষজ ও আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে, ঘিয়ের অনেক উপকারীতার কথা বলা হয়। তবে তা অবশ্যই খাঁটি ঘি হতে হবে। এই সকল সহজ পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই খাঁটি ও ভেজাল ঘি শনাক্ত করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন