সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেছেন, ‘জয়িতারা হচ্ছে সকল বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সফল নারীর প্রতীকী নাম। জয়িতারা বাংলাদেশের বাতিঘর। তাদের দেখে দেশের অন্যান্য নারীরা জয়িতা হতে অনুপ্রাণিত হবে। এভাবে এগিয়ে যাবে দেশ ও সমাজ।’
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ এবং বেগম রোকেয়া দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে মানববন্ধন, আলোচনা সভা ও জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আজ বুধবার আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস-২০২০ উদ্যাপন উপলক্ষে ‘কমলা রঙের বিশে^ নারী, বাধার পথ দেবেই পাড়ি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সকালে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন ট্রেডের প্রশিক্ষণার্থী, জাতীয় মহিলা সংস্থা, ব্র্যাক, জনপ্রতিনিধি, মিডিয়া প্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন শেষে ৫ জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক শাহিনা আক্তারের সভাপতিত্বে এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয় এপিসি প্রকল্পের চাইল্ড রাইটস ফ্যাসিলিটেটর প্রিয়াংকা দাস রায়ের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় পর্যায়ে রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত সাবেক সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা হক, স্থানীয় সরকার বিভাগ সিলেটের উপপরিচাল মীর মাহবুবুর রহমান, জকিগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের ৫টি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত ৫ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে ফুল, উত্তরীয়, সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এ পাঁচ জয়িতারা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী স্বর্ণলতা রায় (জামতলা, সিলেট), শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী সৈয়দা শিরীন আক্তার (চৌহাট্টা, সিলেট), সফল জননী রহিমুন নেছা চৌধুরী (জকিগঞ্জ), নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা হোসনে আরা বেগম (জকিগঞ্জ), সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা বীথিকা দত্ত (সিলেট সদর)।
মন্তব্য করুন