নজরুলের কবিতা থেকে
‘জয় বাংলা’
‘ভাঙার গান’ কাব্যগ্রন্থটি থেকে কবিতা ‘পূর্ণ-অভিনন্দন’।
‘জয় বাংলা’
‘জয় বাংলা’ বাংলার মানুষের অস্তিত্বের স্লোগান ‘জয় বাংলা’র উৎপত্তিও যে ‘‘জাতীয় ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা থেকেই । কবি নজরুলকে মুগ্ধ করে। বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকে নজরুল রচনা করেন ‘ভাঙার গান’ কাব্যগ্রন্থটি। এই ‘ভাঙার গান’ কাব্যগ্রন্থটি ১৯২২ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত হয়েছিল। প্রকাশিত হওয়ার মাস তিনেকের মধ্যে অর্থাৎ ১১ নভেম্বর তারিখে বইটি বৃটিশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। তার পর থেকে এই বইয়ের উপর এই নিষেধাজ্ঞাটি আর প্রত্যাহার করা হয়নি।
তিনি লিখেছেন: ‘মাদারীপুরের স্কুল শিক্ষক পূর্ণচন্দ্র। তিনি ছিলেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি জেল-জুলুম-নির্যাতনের শিকার হন বহুবার। তার আত্মত্যাগ, তার স্বজাত্যবোধ; কবি নজরুলকে মুগ্ধ করে। বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকে নজরুল রচনা করেন ‘ভাঙার গান’ কাব্যগ্রন্থটি। এই কাব্যগ্রন্থের একটি কবিতা ‘পূর্ণ-অভিনন্দন’।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা ‘পূর্ণচন্দ্রে’র জেল-মুক্তির দিনে অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছিলেন পূর্ণ-অভিনন্দন কবিতাটি। এই কবিতায় কাজী নজরুল ইসলাম ‘জয় বাংলা’ শব্দটি ব্যবহার করেন।
কবিতাটির কয়েকটি চরণ তুলে ধরা হলো:
“জয় বাংলা”র পূর্ণচন্দ্র, জয় জয় আদি অন্তরীণ,
জয় যুগে যুগে আসা সেনাপতি, ;জয় প্রাণ অন্তহীন”
‘বাঙালির বাংলা’ প্রবন্ধে:
বাংলা বাঙালির হোক;
বাঙলার জয় হোক, “জয় বাংলা”
এই পূর্ণ-অভিনন্দন কবিতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই “জয় বাংলা” স্লোগানটি গ্রহণ করেন।
সর্ব
‘‘জয় বাংলা শ্লোগান ছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন
বাংলার মানুষের প্রেরণার উৎস৷ সফল অপারেশন শেষে বা যুদ্ধ জয়ের পর অবধারিত ভাবে মুক্তিযোদ্ধারা চিৎকার করে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে জয় উদযাপন করতো৷”বাংলার মানুষের ভবিষ্যৎ মুক্তিযুদ্ধ ও অবশ্যম্ভাবী বিজয়ের বার্তা “জয় বাংলা”
বাংলার মানুষের মুক্তির স্লোগান, বাংলার মানুষের স্বাধীনতার স্লোগান, বাংলার মানুষের জয়ধ্বনি “জয় বাংলা”
‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা থেকে গ্রহণ করেছিলেন।’
এই বিদ্রোহী কবির লেখা কবিতা, তার জীবনকে স্মরণীয় করেছে